দুর্ভোগ কমেনি বানভাসি মানুষের
প্রকাশিত : ০৯:০৫, ১৪ জুলাই ২০২৪
উত্তরাঞ্চলে নদনদীর পানি কমলেও মধ্যাঞ্চলের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। দুর্গত এলাকায় দুর্ভোগ কমেনি মানুষের। কোথাও আবার তীব্র হয়েছে নদী ভাঙন। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, ২৪ ঘণ্টায় পরিস্থিতির আরও উন্নতি হতে পারে।
সিরাজগঞ্জে ২ সপ্তাহ ধরে যমুনার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে দুর্গত এলাকায়। সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুরে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি নিমজ্জিত।
গাইবান্ধায় নদনদীর পানি কিছুটা কমলেও অনেক বাড়িঘর জলমগ্ন থাকায় ফিরতে পারছেন না বাসিন্দারা। কমেনি বানভাসীদের দুর্ভোগ। চোর ডাকাতের ভয়ে রাত জেগে পাহারা দিতে হয় গবাদি পশু।
রাজবাড়ীর পদ্মায় প্রতিদিনই বাড়ছে পানি। গত ২৪ ঘন্টায় ৪ সে.মি পানি বেড়ে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। এতে জেলার চারটি উপজেলার গোয়ালন্দ, সদর, কালুখালী ও পাংশা উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রন বেড়ি বাঁধের নিম্নাঞ্চলের ১৩টি ইউনিয়নের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এসব এলাকার জনবসতির চারপাশে পানিতে তলিয়ে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। গবাদি পশুর খাবার সংকট দেখা দিয়েছে।
টাঙ্গাইলে সব নদীর পানি আবার কমতে শুরু করেছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও বানবাসিরা দুর্ভোগে আছে। জেলার ৬ উপজেলায় এখনো ৪৭ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে জীবন যাপন করছেন। এদিকে বন্যার কারণে জেলার প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুলের ৭২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
এএইচ
আরও পড়ুন